বাংলাদেশ বর্তমানে মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে আটকে পড়েছে। দারিদ্র্য নিরসনে দেশের অগ্রগতির স্থায়িত্ব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।
এর আগে, রোববার (১ ডিসেম্বর) কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "বাংলাদেশ এলডিসি গ্রুপে থাকার মতো দেশ নয়। দেশের সক্ষমতা, স্থায়িত্ব ও দক্ষতা উন্নতমানের হলেও মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বের হতে অর্থনৈতিক এবং কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজন। তবে এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া সম্ভব নয়।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিগত সময়ে দেশের অর্থনীতিতে চামচা পুঁজিবাদের স্থান নিয়েছে দুর্নীতির নীতিমালা।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা জানান, গত ১৫ বছরে দেশের মোট দুর্নীতির প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। এই পাচার প্রক্রিয়া মূলত বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছে। সরকারি খরচের প্রায় ৪০ শতাংশই অপব্যবহারের শিকার।
তারা আরও জানান, জ্বালানি খাতে অভ্যন্তরীণ উৎসে বিনিয়োগের পরিবর্তে আমদানিনির্ভরতা বেড়েছে। একইসঙ্গে প্রযুক্তি খাতে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের পথ রুদ্ধ হয়েছে।
মেগা প্রকল্পের লুটপাটের বোঝা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বহন করতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেন কমিটির সদস্যরা। তারা বৈদেশিক ঋণের শর্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারের উচিত বৈদেশিক উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়গুলো সমাধান করা।
রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়কর সংগ্রহে জোর দেওয়ার পাশাপাশি কমিটি দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কার্যকর সংস্কারের তাগিদ দেন। উপরের স্তরে অনিয়ম বন্ধে সব ধরনের হস্তক্ষেপের পথ রুদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আগে, রোববার (১ ডিসেম্বর) কমিটি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "বাংলাদেশ এলডিসি গ্রুপে থাকার মতো দেশ নয়। দেশের সক্ষমতা, স্থায়িত্ব ও দক্ষতা উন্নতমানের হলেও মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বের হতে অর্থনৈতিক এবং কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজন। তবে এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া সম্ভব নয়।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিগত সময়ে দেশের অর্থনীতিতে চামচা পুঁজিবাদের স্থান নিয়েছে দুর্নীতির নীতিমালা।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা জানান, গত ১৫ বছরে দেশের মোট দুর্নীতির প্রায় ৬০ শতাংশ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। এই পাচার প্রক্রিয়া মূলত বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছে। সরকারি খরচের প্রায় ৪০ শতাংশই অপব্যবহারের শিকার।
তারা আরও জানান, জ্বালানি খাতে অভ্যন্তরীণ উৎসে বিনিয়োগের পরিবর্তে আমদানিনির্ভরতা বেড়েছে। একইসঙ্গে প্রযুক্তি খাতে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের পথ রুদ্ধ হয়েছে।
মেগা প্রকল্পের লুটপাটের বোঝা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বহন করতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেন কমিটির সদস্যরা। তারা বৈদেশিক ঋণের শর্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকারের উচিত বৈদেশিক উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়গুলো সমাধান করা।
রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়কর সংগ্রহে জোর দেওয়ার পাশাপাশি কমিটি দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কার্যকর সংস্কারের তাগিদ দেন। উপরের স্তরে অনিয়ম বন্ধে সব ধরনের হস্তক্ষেপের পথ রুদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।