পাবনার বাজারে আলুর চড়া দাম, শীতকালীন সবজিতেও ঊর্ধ্বগতি

আপলোড সময় : ২৩-১১-২০২৪ ০৮:৫৫:২০ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-১১-২০২৪ ১০:৩৯:০৭ অপরাহ্ন
পাবনার বাজারে শীতকালীন সবজি এবং আলুর চড়া দাম নিয়ে ক্রেতাদের অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে। নতুন আলুর মূল্য হঠাৎ করেই ১০-২০ টাকা বেড়ে গিয়ে প্রতি কেজি ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে কয়েকদিন আগেও তা ছিল ৮০-৮৫ টাকা।

সবজি চাষে সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত পাবনায়, চলমান শীতকালেও বাজারে সবজির দাম বেশ বেশি। বড় বাজার ও লাইব্রেরি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম বেশ চড়া। মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, শিম ৯০-১০০ টাকা এবং বেগুন ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য সবজির মধ্যে পটল ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০, শসা ৫০-৭০, পেঁপে ৪৫ এবং কাঁচা মরিচ ৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

তবে পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। দেশি পেঁয়াজের দাম ১০-২০ টাকা কমে বর্তমানে প্রতি কেজি ১১০ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপণ্যের এমন মূল্যবৃদ্ধি সংসার চালাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এক ক্রেতা, নাইমা জান্নাত, বলেন, "নিজেদের উৎপাদিত সবজি এত দামে কেনা লাগলে আর কী বলা যায়? সবকিছুতেই আগুন লেগেছে।"

অন্যদিকে চাকরিজীবী হাসান রহমান জানান, "গতকাল যে আলু ৮৫ টাকায় কিনেছি, আজ সেটাই ১০০ টাকা। মাসিক খরচ হিসাব করাও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।"

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, অতিবৃষ্টির কারণে মাঠে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় শীতকালীন সবজির আবাদ ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কম এবং দাম বেড়ে গেছে।
একজন বিক্রেতা বলেন, "সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় দামের ওপর চাপ পড়েছে। তবে কৃষকদের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কিছু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি স্বাভাবিক।"

অন্যদিকে, আমদানি করা আলুর সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে দেশি আলুর স্থান সঙ্কুচিত হয়েছে বলে জানান আরেক বিক্রেতা। তিনি বলেন, "আমদানি করা আলুর দাপট বেশি, আর দেশি আলু কম আসায় দাম কমানোর সুযোগ নেই।"

সম্পাদকীয় :


অফিস :


অফিস : তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা ১২১৫।

ইমেইল : [email protected]