পুরোনো গাড়ির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ২ হাজার অতিথি

আপলোড সময় : ২৩-১১-২০২৪ ০৮:৪৫:১২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-১১-২০২৪ ১০:৩৮:৪০ অপরাহ্ন
প্রতিদিনের ব্যবহার্য জিনিসের প্রতি এক ধরনের আবেগ তৈরি হয়। দীর্ঘদিন ব্যবহৃত একটি হাঁড়ি, রাস্তা, কিংবা গাড়ির প্রতি এমন মায়ার টান অস্বাভাবিক কিছু নয়। সম্প্রতি গুজরাটের আমরেলি জেলার পদরশিঙ্গা গ্রামের একটি পরিবার এই আবেগের এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে।

তারা তাদের ১৮ বছরের পুরোনো এবং অকেজো হয়ে পড়া মারুতি সুজুকি ওয়াগন আর গাড়িটির জন্য একটি ব্যতিক্রমী বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সাধারণত পুরোনো গাড়ি স্ক্র্যাপইয়ার্ডে পাঠানো হয়, যেখানে যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করা হয় বা পুনর্ব্যবহার উপযোগী করা হয়। কিন্তু সঞ্জয় পোলারা ও তার পরিবার তাদের ‘লাকি’ গাড়িটিকে স্ক্র্যাপ না করে মাটির নিচে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

গাড়িটি তাদের জীবনে সৌভাগ্য নিয়ে এসেছে বলে মনে করেন পরিবারটি। তাই এর বিদায়ে প্রায় ১,৫০০ অতিথি, ধর্মীয় নেতা এবং সন্ন্যাসীদের নিয়ে আয়োজন করে। গাড়িটির ছাদে গোলাপের পাপড়ি ও মালা দিয়ে সাজানো হয়। ১৫ ফুট গভীর গর্তে নামানোর আগে মন্ত্রোচ্চারণ ও গান পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীসহ প্রায় দুই হাজার আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত ছিলেন। তাদের আপ্যায়নে ছিল পূরি, চাপাতি, সবজি এবং লাড্ডুর আয়োজন। গাড়িটির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পরিবারের সদস্যরা ফুল দিয়ে সাজানো এই গাড়িকে সবুজ কাপড়ে ঢেকে শেষ বিদায় জানান।

সমাধি অনুষ্ঠানের জন্য গ্রামের মানুষের কাছে চার পৃষ্ঠার আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। আমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল, “২০০৬ সাল থেকে এই গাড়ি আমাদের পরিবারের অংশ ছিল। এর সৌভাগ্যে আমরা ধনী ও সম্মানিত হয়েছি। তাই এটি বিক্রি না করে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রেখে দিতে চাই।”

তারা আরও জানিয়েছে, প্রতিবছর গাড়ির সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে এবং একটি গাছ লাগানো হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই স্মৃতি ভুলে না যায়।

সম্পাদকীয় :


অফিস :


অফিস : তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা ১২১৫।

ইমেইল : [email protected]