মুগ্ধ-স্নিগ্ধ বিতর্ক: সত্য কী বলছে?

আপলোড সময় : ২৩-১১-২০২৪ ০৮:১৩:০৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৩-১১-২০২৪ ১০:৩৮:২৩ অপরাহ্ন
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারানো বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধকে ঘিরে একটি বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের একটি অংশ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। তবে ফ্যাক্ট চেকিং প্ল্যাটফর্মগুলো নিশ্চিত করেছে, মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ দুইজন ভিন্ন ব্যক্তি এবং তারা যমজ ভাই।

সম্প্রতি ফেসবুকে মুগ্ধের মৃত্যু নিয়ে কিছু বিতর্কিত দাবি ছড়ায়। অনেক পোস্টে বলা হয়েছে, মুগ্ধ নামে কেউ নেই বা মুগ্ধ এবং স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি। এইসব মিথ্যা প্রচারণায় জনগণের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।

‘সাপোর্টারস অব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্টে লেখা হয়, “মুগ্ধের মরদেহের কোনো ছবি দেখা যায়নি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, জানাজা বা কবরের কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।”

তবে, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফ্যাক্ট চেকিং প্ল্যাটফর্ম রিউমার স্ক্যানার বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে যে মুগ্ধ এবং স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি নন। তারা যমজ ভাই।

ওপেন সোর্স অনুসন্ধানের মাধ্যমে মুগ্ধ ও স্নিগ্ধের একসঙ্গে তোলা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও পর্যালোচনা করে রিউমার স্ক্যানার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুগ্ধকে ঘিরে ছড়ানো সব তথ্য ভিত্তিহীন।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, ১৮ জুলাই বিকেলে উত্তরা আজমপুরে মুগ্ধ বিক্ষোভকারীদের জন্য পানি ও বিস্কুট বিতরণ করছিলেন। এর ১৫ মিনিট পর, আজমপুর মোড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। গুলিটি তার কপাল ভেদ করে মাথার ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সম্পাদকীয় :


অফিস :


অফিস : তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা ১২১৫।

ইমেইল : [email protected]