পূর্ব লন্ডনের ইলফোর্ডে ব্রিসবেন রোডে একটি সিলভার রঙের গাড়ির ভেতর ২৪ বছর বয়সী হর্ষিতা ব্রেলার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দিল্লিতে জন্ম নেওয়া হর্ষিতা গত বছরের আগস্টে পঙ্কজ লাম্বার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ২০২৪ সালের এপ্রিলে যুক্তরাজ্যে আসেন। সম্প্রতি নর্থহ্যাম্পটনশায়ারের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর তার পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে।
ময়নাতদন্তে জানা গেছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে, তার স্বামী পঙ্কজ (২৩) এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে গাড়ির ডিকিতে মৃতদেহ রেখে ইলফোর্ডে ফেলে পালিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, হত্যার পর পঙ্কজ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
হর্ষিতার পরিবার জানিয়েছে, পঙ্কজ প্রায়ই অভিযোগ করতেন হর্ষিতা তার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলে কিংবা ঠিক সময়ে খাবার পরিবেশন করতে পারে না। এই বিষয়গুলো নিয়ে তাদের মধ্যে নিয়মিত মনোমালিন্য হতো।
১০ নভেম্বর রাতে পরিবারের সঙ্গে শেষবার কথা বলেছিলেন হর্ষিতা। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি রাতের খাবার তৈরি করে পঙ্কজের ফেরার অপেক্ষায় আছেন। এর দুই দিন পর থেকে তার ফোন বন্ধ থাকায় উদ্বিগ্ন পরিবার ১৩ নভেম্বর পুলিশের শরণাপন্ন হয়। অবশেষে ১৪ নভেম্বর তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, হর্ষিতা পারিবারিক সহিংসতার শিকার ছিলেন এবং সেপ্টেম্বরে তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স প্রোটেকশন অর্ডার জারি হয়েছিল। প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, তার মৃত্যুর আগের দিনগুলোতে দম্পতির বাড়ি থেকে তীব্র ঝগড়ার শব্দ শুনতে পাওয়া গিয়েছিল।
হর্ষিতার বাবা সতবীর ব্রেলা বলেছেন, "আমার মেয়ে সহজ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। তার শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আমি চাই তার স্বামীকে বিচারের আওতায় আনা হোক এবং আমার মেয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। মেয়েকে হারিয়ে আমার জীবনে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।"
ময়নাতদন্তে জানা গেছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে, তার স্বামী পঙ্কজ (২৩) এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে গাড়ির ডিকিতে মৃতদেহ রেখে ইলফোর্ডে ফেলে পালিয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, হত্যার পর পঙ্কজ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
হর্ষিতার পরিবার জানিয়েছে, পঙ্কজ প্রায়ই অভিযোগ করতেন হর্ষিতা তার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলে কিংবা ঠিক সময়ে খাবার পরিবেশন করতে পারে না। এই বিষয়গুলো নিয়ে তাদের মধ্যে নিয়মিত মনোমালিন্য হতো।
১০ নভেম্বর রাতে পরিবারের সঙ্গে শেষবার কথা বলেছিলেন হর্ষিতা। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি রাতের খাবার তৈরি করে পঙ্কজের ফেরার অপেক্ষায় আছেন। এর দুই দিন পর থেকে তার ফোন বন্ধ থাকায় উদ্বিগ্ন পরিবার ১৩ নভেম্বর পুলিশের শরণাপন্ন হয়। অবশেষে ১৪ নভেম্বর তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, হর্ষিতা পারিবারিক সহিংসতার শিকার ছিলেন এবং সেপ্টেম্বরে তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স প্রোটেকশন অর্ডার জারি হয়েছিল। প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, তার মৃত্যুর আগের দিনগুলোতে দম্পতির বাড়ি থেকে তীব্র ঝগড়ার শব্দ শুনতে পাওয়া গিয়েছিল।
হর্ষিতার বাবা সতবীর ব্রেলা বলেছেন, "আমার মেয়ে সহজ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। তার শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আমি চাই তার স্বামীকে বিচারের আওতায় আনা হোক এবং আমার মেয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। মেয়েকে হারিয়ে আমার জীবনে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।"