সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের রিমান্ড শুনানির সময় তাকে সালাম জানানো এবং কুশল বিনিময়ের জেরে ঢাকা মহানগর আদালতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের নাজির শাহ মো. মামুনের অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের ডিসি এবং কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা এই ঘটনায় মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনকে অবহিত করেন। পরে বিচারক নাজির মামুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এদিকে, মারজিয়া হীরা নামের এক আইনজীবী ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, রিমান্ড শুনানির সময় আসামির ছেলে ডা. তানজির ইসলাম আদালতের ভেতরে অবস্থান করছিলেন, যা নাজির মামুনের সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে।
নাজির শাহ মো. মামুন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের সঙ্গে কেবল সৌজন্যমূলক কুশল বিনিময় হয়েছে এবং তিনি আসামির পরিবারের কারো সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত নন।
দুপুরে নাজিরের অনুপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে কিছু আইনজীবী ভাঙচুর চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, ভাঙচুরের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা মামলায় সোমবার গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার আদালতে হাজির করার পর তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।