যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোর জন্য প্রার্থীদের বাছাই শুরু করেছেন। তবে ইতোমধ্যেই তার কয়েকটি মনোনয়ন নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে। এটর্নি জেনারেল হিসেবে তিনি নির্বাচিত করেছেন ফ্লোরিডার প্রভাবশালী রিপাবলিকান ম্যাট গায়েটজকে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যৌনতার অভিযোগ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।
একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ম্যাট গায়েটজ নাকি কম বয়সী এক নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে বিষয়টি এথিকস কমিটির তদন্ত পর্যন্ত গড়িয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ‘যৌন সুবিধার’ বিনিময়ে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন গায়েটজ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি, তবে রিপাবলিকান সিনেটরদের একাংশ এথিকস কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের দাবি জানাচ্ছেন।
এটি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিনেটে রিপাবলিকানদের অল্প ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় কিছু সিনেটরের বিরোধিতা ম্যাট গায়েটজের নিয়োগ আটকে দিতে পারে। প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, যেহেতু গায়েটজ কংগ্রেসের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, এথিকস কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করা উচিত নয়। কিন্তু রিপাবলিকানদের মধ্যে এ বিষয়ে বিভক্তি স্পষ্ট।
ট্রাম্পের এই মনোনয়ন তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে নর্থ ডাকোটার সিনেটর কেভিন ক্র্যামার মনে করেন, এ ধরনের প্রার্থীর পক্ষে চাপ প্রয়োগ ট্রাম্পের প্রশাসনের জন্য দীর্ঘমেয়াদে সমস্যার কারণ হতে পারে। তবে ট্রাম্প তার অবস্থানে অটল থাকলে রিপাবলিকান সিনেটরদের উপর রাজনৈতিক চাপ আরও বাড়তে পারে।