শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পাঁচ ফুট দৈর্ঘ্যের রাসেল ভাইপার পিটিয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে সখিপুর থানার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের চরজিংকিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চরজিংকিং এলাকার কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, তারা কয়েকজন ধান কাটতে গেলে সাপটিকে কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন। পরে অন্য কৃষকেরা এগিয়ে এসে সাপটিকে মেরে ফেলেন।
২০২০ সালে কাঁচিকাটায় প্রথম চন্দ্রবোড়া সাপের দেখা মেলে, যা পরে উপজেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এর উপদ্রব কমলেও মাঝে মাঝে এমন ঘটনা ঘটে। পদ্মার চরাঞ্চলে রাসেল ভাইপারের কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৮৪ জন সাপে কাটা রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন, যার মধ্যে ৭ জনকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয় এবং ২ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার জানান, সাপের উপদ্রব আগের তুলনায় বেড়েছে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিষেধক মজুত রয়েছে।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও বন বিভাগের কর্মকর্তা জোহরা মিলা জানান, রাসেল ভাইপার সাপটি 'চন্দ্রবোড়া' বা 'উলুবোড়া' নামেও পরিচিত এবং আইইউসিএনের ২০১৫ সালের লাল তালিকা অনুযায়ী এটি বাংলাদেশে সংকটাপন্ন প্রাণী।
ধানক্ষেতে ইঁদুর ও টিকটিকির প্রাচুর্যের কারণে রাসেল ভাইপার সেখানে আসে। পদ্মার চরাঞ্চল, নদী অববাহিকা ও বরেন্দ্র এলাকায় এই সাপটি বেশি দেখা যায়। জুন-জুলাই মাসে এর প্রজননকাল এবং এটি ডিম না দিয়ে সরাসরি ৬-৬৩টি বাচ্চা প্রসব করে। বিষের কারণে মাংস পঁচে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে। সচেতনতাই সাপটির কবল থেকে বাঁচার কার্যকর পথ বলে জানান জোহরা মিলা।
চরজিংকিং এলাকার কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, তারা কয়েকজন ধান কাটতে গেলে সাপটিকে কুণ্ডলী পাকিয়ে থাকতে দেখে চিৎকার করেন। পরে অন্য কৃষকেরা এগিয়ে এসে সাপটিকে মেরে ফেলেন।
২০২০ সালে কাঁচিকাটায় প্রথম চন্দ্রবোড়া সাপের দেখা মেলে, যা পরে উপজেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এর উপদ্রব কমলেও মাঝে মাঝে এমন ঘটনা ঘটে। পদ্মার চরাঞ্চলে রাসেল ভাইপারের কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত ৮৪ জন সাপে কাটা রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন, যার মধ্যে ৭ জনকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয় এবং ২ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার জানান, সাপের উপদ্রব আগের তুলনায় বেড়েছে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিষেধক মজুত রয়েছে।
বন্যপ্রাণী গবেষক ও বন বিভাগের কর্মকর্তা জোহরা মিলা জানান, রাসেল ভাইপার সাপটি 'চন্দ্রবোড়া' বা 'উলুবোড়া' নামেও পরিচিত এবং আইইউসিএনের ২০১৫ সালের লাল তালিকা অনুযায়ী এটি বাংলাদেশে সংকটাপন্ন প্রাণী।
ধানক্ষেতে ইঁদুর ও টিকটিকির প্রাচুর্যের কারণে রাসেল ভাইপার সেখানে আসে। পদ্মার চরাঞ্চল, নদী অববাহিকা ও বরেন্দ্র এলাকায় এই সাপটি বেশি দেখা যায়। জুন-জুলাই মাসে এর প্রজননকাল এবং এটি ডিম না দিয়ে সরাসরি ৬-৬৩টি বাচ্চা প্রসব করে। বিষের কারণে মাংস পঁচে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে। সচেতনতাই সাপটির কবল থেকে বাঁচার কার্যকর পথ বলে জানান জোহরা মিলা।