যে কারনে শিশুর রক্ত আমাশয় হয়

আপলোড সময় : ২৭-০৩-২০২৪ ০২:২৭:৫০ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৮-০৩-২০২৪ ১২:৫৫:৫৯ অপরাহ্ন
ছোটবেলায় বাচ্চারা যখন হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটা শেখে, মাঝে মধ্যেই হঠাৎ করে মেঝেতে পড়া নানারকম জিনিসপত্র মুখে দিয়ে দেয় তখন অনেকরকম রোগব্যাধির সংক্রমণ হয়। সংক্রমণের মধ্যে পেটের ওসুখ অন্যতম। অনেক সময় শিশু কোনো কারণ ছাড়াই ঘ্যানঘ্যান করে, পরে দেখা যায় মলের সঙ্গে হঠাৎ রক্ত বের হচ্ছে। রক্ত-আমাশয় বলা হয় এই উপসর্গকে। তবে এটি হলে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

আমাশয় হলো অন্ত্রের ইনফেকশন বা সংক্রমণ। মূলত জীবাণুঘটিত রোগ। আমাশয়ের কারণে প্রাথমিকভাবে খুব কষ্ট হলেও এতে প্রাণহানীর কোনো আশঙ্কা থাকে না। তবে আমাশয় দীর্ঘদিন নিরাময় না হলে প্রাণহানীর শঙ্কাও থাকে।

কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে-
১. শিশুর মারাত্মক ডায়ারিয়া হতে পারে।
২. পেটে, বিশেষ করে নাভির চারপাশের এলাকায় প্রচণ্ড ব্যথা হবে।
৩. অনেকের ক্ষেত্রে সংক্রমণ বাড়াবাড়ি হলে জ্বরও হতে পারে।
৪. অনেক আমাশয় এমন সংক্রমণের সৃষ্টি করে, সেখান থেকে রক্তপাতও হয়। ফলে মলের সঙ্গে রক্ত বের হতে থাকে।
৫. তবে, আমাশয়ের অন্যতম লক্ষণ বারবার পেটে ব্যথা হয় এবং বাথরুম যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
৬. কিন্তু পেট পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাশয় হওয়ার পেছনে কিছু কারণ থাকে-
১. সংক্রমিত খাবার থেকে হতে পারে।
২. সংক্রমিত পানি বা অন্যান্য পানীয় থেকে হয়।
৩. নোংরায় হাত দিয়ে সেই হাত ভালো করে না ধুলে আমাশয় হতে পারে।
৪. বাচ্চা সাঁতার কাটার সময় পুলের বা পুকুরের সংক্রমিত পানি পেটে গেলে।
৫. সংক্রমিত ব্যক্তির স্পর্শে গেলেও হতে পারে।

চিকিৎসকের মতে, আমাশয় সংক্রমণের পেছনে পানির ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। আমাশয় সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়। তবে আমাশয় হলে খাওয়ার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। পানিশূন্যতা পূরণ করতে প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার, যেমন ঠান্ডা পানি, চিনির শরবত, ডাবের পানি, ফলের রস ইত্যাদি খেতে হবে।

সম্পাদকীয় :


অফিস :


অফিস : তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা ১২১৫।

ইমেইল : [email protected]