শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার প্রদীপের বিরুদ্ধে বাসে পান খাইয়ে অচেতন করে এক গরু ব্যবসায়ীর ১৮ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাসযাত্রী মো. জাহাঙ্গীর গত শনিবার (২৩ মার্চ) পাবনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে পাবনায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে শনিবার তার জ্ঞান ফিরলে রাতে তিনি এ তথ্য জানান।
অভিযোগে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে পাবনায় গরু কিনতে যাওয়ার পথে বাসের মধ্যেই তাকে অচেতন করে প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীর অভিযোগ, শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার যাত্রাপথে পান খাইয়ে তাকে অচেতন করে হাতিয়ে নেন ওই টাকা।
গরু ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে দীর্ঘ এক যুগ ধরে প্রতি সোমবার গরু কেনার জন্য পাবনার অরনখোলা হাটে যান। আর নিয়মিত যাতায়াত করায় সুসম্পর্ক হয় শ্যামলী পরিবহন বাসের সটির স্টাফদের সঙ্গে।
জাহাঙ্গীরের অভিযোগ, দীর্ঘ এক যুগ চলার পথে এতদিন কোনো সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ করেই গত সোমবার (১৮ মার্চ) পড়তে হয় বিপাকে। ১৮ লাখ টাকা কোমরে বেঁধে সেদিন রাত ৮টার দিকে ৮ নম্বর শ্যামলী পরিবহন বাসের টিকিট ক্রয় করেন জাহাঙ্গীর ও তার রাখাল জসিম উদ্দীন। এ সময় রাখালের কাছেও ছিল ৩ লাখ টাকা। শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার প্রদীপ তাকে ৪ নম্বর বাসে তুলে দেন।
বাসটি পাবনায় পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে সুপারভাইজার প্রদীপ দুজনকেই দুটি পান খেতে দেন। এ সময় তারা পান খেতে থাকলে সুপারভাইজার প্রদীপ এসে তাদের ঘুমাতে বলেন। গরমের মধ্যে সারাদিন গরু কিনবেন বলে বিশ্রাম নিতে বলেন তাদের। এরপরের ঘটনা আর কিছুই মনে নেই জাহাঙ্গীরের। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন শ্যামলী গ্যাস পাম্পের পেছনের একটি জায়গায় পড়ে আছেন তিনি। তার কাছে থাকা ১৮ লাখ টাকা নেই। তবে পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তার রাখালের কাছে থাকা তিন লাখ টাকাও আছে।
পান খাওয়ানোর বিষয়সহ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাসটির সুপারভাইজার প্রদীপ। তিনি বলেন, আমি কাউরে কোনো চা অথবা পান খাওয়াইনি। কোনো যাত্রীকে কোনোদিন পানিও খাওয়াইনি। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট কথা।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমরা লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।
রোববার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে পাবনায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে শনিবার তার জ্ঞান ফিরলে রাতে তিনি এ তথ্য জানান।
অভিযোগে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে পাবনায় গরু কিনতে যাওয়ার পথে বাসের মধ্যেই তাকে অচেতন করে প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীর অভিযোগ, শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার যাত্রাপথে পান খাইয়ে তাকে অচেতন করে হাতিয়ে নেন ওই টাকা।
গরু ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে দীর্ঘ এক যুগ ধরে প্রতি সোমবার গরু কেনার জন্য পাবনার অরনখোলা হাটে যান। আর নিয়মিত যাতায়াত করায় সুসম্পর্ক হয় শ্যামলী পরিবহন বাসের সটির স্টাফদের সঙ্গে।
জাহাঙ্গীরের অভিযোগ, দীর্ঘ এক যুগ চলার পথে এতদিন কোনো সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ করেই গত সোমবার (১৮ মার্চ) পড়তে হয় বিপাকে। ১৮ লাখ টাকা কোমরে বেঁধে সেদিন রাত ৮টার দিকে ৮ নম্বর শ্যামলী পরিবহন বাসের টিকিট ক্রয় করেন জাহাঙ্গীর ও তার রাখাল জসিম উদ্দীন। এ সময় রাখালের কাছেও ছিল ৩ লাখ টাকা। শ্যামলী পরিবহনের সুপারভাইজার প্রদীপ তাকে ৪ নম্বর বাসে তুলে দেন।
বাসটি পাবনায় পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে সুপারভাইজার প্রদীপ দুজনকেই দুটি পান খেতে দেন। এ সময় তারা পান খেতে থাকলে সুপারভাইজার প্রদীপ এসে তাদের ঘুমাতে বলেন। গরমের মধ্যে সারাদিন গরু কিনবেন বলে বিশ্রাম নিতে বলেন তাদের। এরপরের ঘটনা আর কিছুই মনে নেই জাহাঙ্গীরের। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখেন শ্যামলী গ্যাস পাম্পের পেছনের একটি জায়গায় পড়ে আছেন তিনি। তার কাছে থাকা ১৮ লাখ টাকা নেই। তবে পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তার রাখালের কাছে থাকা তিন লাখ টাকাও আছে।
পান খাওয়ানোর বিষয়সহ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাসটির সুপারভাইজার প্রদীপ। তিনি বলেন, আমি কাউরে কোনো চা অথবা পান খাওয়াইনি। কোনো যাত্রীকে কোনোদিন পানিও খাওয়াইনি। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট কথা।
বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমরা লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান স্থানীয়রা।