আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে সার ও কীটনাশকসহ দিনমজুরের খরচ। এর ফলে বেড়েছে আলুর উৎপাদন ব্যয়। যার কারনে খোদ কৃষকরাই সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না । অন্যদিকে উৎপাদনও কমেছে আবহাওয়ার কারণে। এ কারণে আগামীতে সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় হিমাগার মালিকরা।
আলু বাংলাদেশে এককভাবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সবজি। ধনী থেকে গরীব, সব শ্রেণির রসনা-বিলাসেই যা একরকম অপরিহার্য উপাদান। এমনকী তুলনামূলক কম দামের কারণে কেউ কেউ বলে থাকেন সর্বজনীন খাদ্য। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে তা নিয়েও চলছে নানা তালবাহানা।
এ ব্যাপারে এক ক্রেতা বলেন, আমরা তো ভুক্তভোগী। আমাদের কিছু করার নেই। বাজারে যে দাম থাকে সেই দামে কিনতে হবে। আমাদের তো খেতে হবে।
অন্য এক ক্রেতা বলেন, সরকারের উদ্যোগ আছে। কিন্তু থাকলে কি হবে, মনে হয় কোথাও কোনো জটিলতা রয়েছে। এ কারণে সম্ভব হচ্ছে না।
মাত্র কয়েক মাস আগেও প্রতি কেজি আলুর জন্য ৮০ টাকা গুণতে হয়েছে ভোক্তাকে। এমনকি চলতি মৌসুমে রেকর্ড উৎপাদনের পরও বিক্রি হয়েছে অতীতের থেকে বেশি দামে। এমন অবস্থায় উৎপাদন খরচ হিসাব করে খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু বাজার থেকে দেড়গুণ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
এক পাইকার বলেন, ব্যাপারীরা কম দামে কিনতে পারে না সেখান থেকে। কিনতে না পারলে আমাদের রেট দেয় যে, এই দামে কেনা। সুবিধা হলে বিক্রি করব, না হলে নাই।
এদিকে কৃষকরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় সারসহ নানা কীটনাশকের দাম বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে উৎপাদন ব্যয়ে। সেই সঙ্গে আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন ব্যহত হয়েছে।
গেল বছর এক কোটি চার লাখ টন আলু উৎপাদন হয়। বিপরীতে চাহিদা ছিলো ৮৫ লাখ টন।