আলোচিত সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে শিক্ষকের গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে ক্লাস বর্জন করা শিক্ষার্থীরা আজ ক্লাসে ফেরে। এরপর তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা আবার সাতদিনের ছুটি নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন চৌধুরী।
কলেজের তৃতীয় বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের চোখের সামনে সহপাঠীর ওপর এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আমরা সবাই বড় ভেঙে পড়েছি। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি। বিধায় মনটাকে একটু ভালো করে আহত সহপাঠীকে সুস্থ করে তার পর তাকে সঙ্গে নিয়েই আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। তাই কলেজের অধ্যক্ষের কাছে তৃতীয় বর্ষের সবাই মিলে সাত দিনের ছুটির আবেদন করলে তিনি সেটি মঞ্জুর করেছেন।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা গতকাল দুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছিলাম। তাদেরকে বুঝিয়েছি যে, ক্লাস না করলে তাদেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে। এবং অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একদিকে তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন, অন্যদিকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপর তারা ক্লাসে ফিরেছিল।
তিনি বলেন, আজ তারা ক্লাস শুরু করে। এরপর তারা জানায়, তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এরজন্য সবাই আগামী এক সপ্তাহের জন্য ছুটি চায়। পড়ে তৃতীয় বর্ষের ৬৫ জন শিক্ষার্থীরই এক সপ্তাহের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্লাসরুমে ভাইভা চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে শিক্ষক রায়হান অস্ত্র বের করে গুলি চালান। গুলিটি কলেজের ফরেনসিক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তমালের পায়ে বিদ্ধ হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত রায়হান শরিফ কলেজের মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক। গুলির এই ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছেন শিক্ষার্থীরা। কলেজের ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক তাদের রাতে ভিডিও কল দিতেন এবং তার কাছে যেতে বলতেন।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন চৌধুরী।
কলেজের তৃতীয় বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের চোখের সামনে সহপাঠীর ওপর এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আমরা সবাই বড় ভেঙে পড়েছি। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছি। বিধায় মনটাকে একটু ভালো করে আহত সহপাঠীকে সুস্থ করে তার পর তাকে সঙ্গে নিয়েই আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। তাই কলেজের অধ্যক্ষের কাছে তৃতীয় বর্ষের সবাই মিলে সাত দিনের ছুটির আবেদন করলে তিনি সেটি মঞ্জুর করেছেন।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা গতকাল দুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসেছিলাম। তাদেরকে বুঝিয়েছি যে, ক্লাস না করলে তাদেরই পড়াশোনার ক্ষতি হবে। এবং অভিযুক্ত সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একদিকে তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন, অন্যদিকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরপর তারা ক্লাসে ফিরেছিল।
তিনি বলেন, আজ তারা ক্লাস শুরু করে। এরপর তারা জানায়, তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এরজন্য সবাই আগামী এক সপ্তাহের জন্য ছুটি চায়। পড়ে তৃতীয় বর্ষের ৬৫ জন শিক্ষার্থীরই এক সপ্তাহের ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্লাসরুমে ভাইভা চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে শিক্ষক রায়হান অস্ত্র বের করে গুলি চালান। গুলিটি কলেজের ফরেনসিক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তমালের পায়ে বিদ্ধ হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত রায়হান শরিফ কলেজের মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক। গুলির এই ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনেছেন শিক্ষার্থীরা। কলেজের ছাত্রীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক তাদের রাতে ভিডিও কল দিতেন এবং তার কাছে যেতে বলতেন।