সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নানা আয়োজনে বশেফমুবিপ্রবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ‘এটিভি ইউএসএ আইকনিক অ্যাওয়ার্ড’-এ সেরা অভিনেত্রী প্রভা জানুয়ারি থেকে ডিম উৎপাদন স্থগিতের হুঁশিয়ারি পোল্ট্রি খামারিদের দুই দিনের রিমান্ডে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী নিশিতা মৌলভীবাজারে বগি রেখে চলে গেল ট্রেন বড় মায়ের স্বপ্ন পূরণে হাতির পিঠে বিয়ে করলেন জাকারিয়া বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করল ছাত্রশিবির বাংলাদেশ থেকে ওষুধ কিনতে আগ্রহী পাকিস্তান মানবাধিকার বাস্তবায়নে বশেফমুবিপ্রবির ছাত্রদলপন্থী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন হাসিনা ও রেহানার ক্যাশিয়ারদের বিষয়ে জানালেন আইন উপদেষ্টা বাজারে নতুন আলু আসলে কমবে দাম: বাণিজ্য উপদেষ্টা বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলছে ‘পুষ্পা টু’, আয় ছাড়ালো ৮০০ কোটি ৪৭তম বিসিএসের আবেদন স্থগিত ভারত পালিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, ৪ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ইইউ ভিসা সেন্টার সরিয়ে ঢাকায় আনার অনুরোধে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিকের বই বিতরণ শুরু শ্রমিক লীগ নেতা খাসজমি বিক্রি করে আশ্রয়ণের ঘরে বসবাস বিশ্বজুড়ে স্বৈরাচারের পতনের নতুন যুগ ৫ টাকার জন্য সংঘর্ষে দুই গ্রামের আহত অর্ধশতাধিক সিরিয়ার ক্ষমতা এখন কার হাতে যাবে ?
শেখ হাসিনা, বাশার আল আসাদ, এরপর কে?

বিশ্বজুড়ে স্বৈরাচারের পতনের নতুন যুগ

  • আপলোড সময় : ০৮-১২-২০২৪ ০৬:৪৯:২২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-১২-২০২৪ ০৯:০২:৫১ অপরাহ্ন
বিশ্বজুড়ে স্বৈরাচারের পতনের নতুন যুগ
বিশ্ব রাজনীতিতে চলমান উত্তাল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে একের পর এক স্বৈরশাসকের পতন ঘটছে। গত ৫ আগস্ট তীব্র গণআন্দোলনের মুখে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং দেশত্যাগ করেন। একই বছর, ডিসেম্বরের ৮ তারিখে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহীদের সশস্ত্র চাপে দেশ ছাড়েন, যা তার দুই দশকের ক্ষমতার সমাপ্তি ঘটায়।

এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে—হাসিনা গেলেন, আসাদ গেলেন, তবে এরপর কার পালা?

বর্তমানে বেশ কিছু দেশে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থা চলছে। এসব জায়গায় জনগণের মত প্রকাশের অধিকার সীমিত, এবং ক্ষমতার মসনদে একক শাসকদের আধিপত্য। এই দেশগুলোতে আগামীতে গণআন্দোলন বা রাজনৈতিক অস্থিরতার মাধ্যমে শাসন পরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

স্বৈরতান্ত্রিক শাসনে থাকা দেশগুলোর চিত্র:

উত্তর কোরিয়া:
কিম জং উনের কঠোর শাসনব্যবস্থা জনগণের স্বাধীনতা একেবারেই খর্ব করেছে। বিরোধীদের দমন ও শাসক পরিবারের একচ্ছত্র আধিপত্য দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

চীন:
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে শি জিনপিং তার ক্ষমতা সংহত করেছেন। যদিও চীন নিজেকে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে, তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ এটিকে স্বৈরাচারী বলে পরিচিত করেছে।

বেলারুশ:
আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর দীর্ঘমেয়াদী শাসন ও নির্বাচনী কারচুপি জনগণের মধ্যে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা:
নিকোলাস মাদুরোর শাসন বিরোধী দল ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।

রাশিয়া:
ভ্লাদিমির পুতিনের শাসনকাল জুড়ে বিরোধীদের দমন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে আসছে।

মিয়ানমার:
সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটি কার্যত সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইরান:
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কম্বোডিয়া:
হুন সেনের কয়েক দশকের শাসন শেষে তার ছেলে হুন মানেত ক্ষমতায় আসলেও রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত রয়েছে।

এছাড়াও তাজিকিস্তান, ইরিত্রিয়া, তুর্কমেনিস্তান, কিউবা, সৌদি আরবসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : আরিজ উলফি মিথুন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ