নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ বিবাহিত। পুরুষ আক্রান্তের হার ৭৭ শতাংশ, নারীদের ২২ শতাংশ এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর ১ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ৬০ বা তার বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এসটিডি বা এইডস প্রোগ্রামের তথ্য অনুসারে, নতুন আক্রান্তদের ৬৩ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে। এছাড়া, ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে আক্রান্তের হার ২১ শতাংশ। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ১০ শতাংশ রোহিঙ্গা, ১ শতাংশ নারী যৌনকর্মী এবং ১ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গের।
বিভাগীয় পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ৪০৬ জন, চট্টগ্রামে ৩২৬ জন, খুলনায় ১৫৪ জন, রাজশাহীতে ১৪৭ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ৪৪ থেকে ৮৬ জন নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মাহফুজার রহমান সরকারের মতে, পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শনাক্তের হার বেড়েছে। এটি সংক্রমণ বৃদ্ধি হিসেবে বিবেচিত নয়। আক্রান্তদের চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে, যা রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, যেমন শিরায় মাদক গ্রহণকারী, যৌনকর্মী ও সমকামী জনগোষ্ঠী, বৈষম্যের শিকার হন। এর ফলে তারা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন, যা রোগ সংক্রমণের হার বাড়িয়ে তোলে।