বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৭ জন নেতার গুম, নির্যাতন ও শারীরিক পঙ্গুত্বের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগে এসব পৃথক অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।
মামলাকারীদের মধ্যে ৬ জন নিজে উপস্থিত ছিলেন, তবে একজনের নিখোঁজ থাকার কারণে তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন— দেলোয়ার হোসেন মিশু, নুরুল আমিন, মো. আলমগীর হোসেন, আব্দুল করিম, মো. জনি ইসলাম এবং সাইফুল ইসলাম। কামরুজ্জামান এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
অভিযোগকারীদের সাহায্য করেন ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং সহকারী আইন সম্পাদক আমানুল্লাহ আদিব। সাতটি আলাদা ঘটনায় মোট ৫৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে র্যা ব, পুলিশ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের সদস্যরা। তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
প্রথম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মো. জনি ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির কর্মী ছিলেন। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারির রাতে তাকে পড়ার টেবিল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রশাসন ও ছাত্রলীগের কয়েকজনের সহযোগিতায় নির্যাতন করা হয়। এরপর তাকে থানা ও একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গুলি করা হয় এবং আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ফেলে রাখা হয়। চিকিৎসা না করিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হলে, সাত দিন পর তার পা কেটে ফেলা হয়।
অন্যান্য অভিযোগগুলিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে ছাত্রশিবিরের নেতাদের উপর পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠনের হামলা, গুলিবর্ষণ, আটক এবং বর্বর নির্যাতনের ঘটনা।
ট্রাইব্যুনালে শিবিরের ৭ নেতাকে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ
- আপলোড সময় : ১৭-১১-২০২৪ ০৭:১১:০৭ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৭-১১-২০২৪ ০৭:৩৯:০৯ অপরাহ্ন
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ