মে মাসের প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যে হঠাৎ করেই আকাশ মেঘলা সাথে ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি । তৈরি হল ঠান্ডা হাওয়ার আমেজ। এমন দিনে ঘরে থাকতে একদমই মন চায়না। এর মধ্যেই হাসব্যান্ড এসে প্রস্তাব দিলো মন্দারমণি যাওয়ার! মনে হলো এতো মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। সঙ্গে, সঙ্গে ব্যাগ গোছানোর পর্ব শুরু হয়ে গেলো। কিন্তু আমাদের মেয়েদের ওই এক সমস্যা কোথাও বেরোতে গেলেই মনে হয় কিছুই তো ভালো জামা-কাপড় নেই। কি করি? শেষে ঠিক হলো যাওয়ার পথেই একট্টু খানি কেনাকাটা করে নেবো।
তাড়াহুড়ো করে মধ্যাহ্নভোজ এর পর্ব সেরে বেরিয়ে পড়লাম মন্দারমণির উদ্দেশ্যে। ১৩ বছর ধরে মন্দারমণির এই অমোঘ টান যেনো কিছুতেই অস্বীকার করতে পারিনা। পুরো রাস্তাতেই ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়ার দাপট আর মাঝে,মাঝে রিমঝিম বৃষ্টি, সঙ্গে গাড়িতে বাজছে অরিজিৎ সিং এর গান। উফফ, আর কি চাই?
এই রোমান্টিক আবহাওয়া কে সঙ্গে নিয়ে আমরা চলে এলাম মন্দারমণিরতে। আখানে এসে বেশ সুন্দর সাজানো, গোছানো রিসোর্ট উঠি। তবে আমার এবার এই রিসোর্ট এ আসার মুখ্য আকর্ষণ ছিলো ইনফিনিটি পুল। সুইমিং পুল থেকে সমুদ্র দেখার এক আলাদাই ব্যাপার আছে।
পরের দিন সকাল হতে না হতেই দেখি সূর্যিমামা চড়া রোদ নিয়ে হাজির। যাহঃ কোথায় গেলো গতকালের সেই মেঘলা আকাশ? কি আর করি অতঃপর প্রাতঃরাশ সেরে একটু বেরিয়ে পড়লাম শঙ্করপুর আর তাজপুরের দিকে। বহু বছর পর শঙ্করপুরে এসে সব কেমন যেনো অচেনা লাগছিলো। কতো বদলে গেছে সব কিছু। পুরোনো স্মৃতিগুলো তখন যেনো সব এসে ভীড় করছিলো মনের মাঝে।
শঙ্করপুর ঘুরে আমরা চলে এলাম তাজপুরে। সব জায়গাতেই সমুদ্র সৈকত একেবারেই ফাঁকা। শুধু সমুদ্রের নীল জলরাশি আর নির্জন সৈকত। এইরকম নীল নির্জনের আকর্ষণেই তো বারংবার মন্দারমণি ছুটে আসি। তাজপুরে এক দিদির ছোটো হোটেলে আমরা মধ্যাহ্নভোজের পর্বটা সেরে নিলাম।
এবার আবার চলে এলাম প্রিয় মন্দারমণিতে আর এখানে এসেই আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হতে লাগলো। আকাশে মেঘের আনাগোনা আর সমুদ্রের ঠান্ডা হাওয়া। সমুদ্রের ঠান্ডা জলে পা ভিজিয়ে মন, প্রাণ এক্কেবারে জুড়িয়ে গেলো। তারপর আবার অনেকক্ষন ধরে চললো সুইমিং পুল এর জলে দাপাদাপি।
আজই মন্দারমণিতে এবারের মতো আমাদের শেষ রজনী। সমুদ্র সৈকতে তখন মাতাল করা দামাল হাওয়া বইছে। এই হাওয়া ছেড়ে কি আর ঘরের এসিতে ফিরতে মন চায়? যতক্ষণ পারলাম বাইরেই বসে রইলাম...মনে হচ্ছিলো এই রাত যেনো শেষ না হয়।
সকাল হতেই এবার ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি ফেরার পালা। আজও আবহাওয়া বেশ সুন্দর, তাই মনঃস্থির করলাম রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে একবার লাল কাঁকড়া সমুদ্র সৈকতটা টুক করে ঘুরে আসি। সেই মতো আমাদের গাড়ি চললো লাল কাঁকড়া বিচ এর দিকে। এখানে বলে রাখি এই বিচ এ আসার যে পথ তা পুরোটাই কাঁচা রাস্তা। এই কাঁচা রাস্তা ধরেই আমরা পৌঁছে গেলাম লাল কাঁকড়া বিচ এ।
এসে দেখি কোথাও কোনো প্রাণীর দেখা নেই। এ যেনো জনমানব শূন্য এক সমুদ্র সৈকত। এই রকম ফাঁকা সৈকত পেয়ে কি যে আনন্দ পেলাম তা ভাষায় প্রকাশ্য সম্ভব নয়। অনেকক্ষন এই সৈকতে সময় কাটালাম আর লাল কাঁকড়ার অনুসন্ধান করে চললাম। কিছু লাল কাঁকড়ার দেখা মিললো। তবে পায়ের আওয়াজ পেলেই তো ওরা অনেক দূর থেকেই ওদের গর্তে টুপ্ টাপ ঢুকে পরে। এই জনমানব শূন্য সৈকত কিন্তু আমাদের মতো যাঁরা নিজর্ন জায়গার খোঁজে বেরিয়ে পড়েন আশা করি তাঁদের বেশ ভালোই লাগবে।
মন্দারমণি, শঙ্করপুর, তাজপুর, লাল কাঁকড়া বিচ এর সফর সেরে এবার বাড়ির পথে যাত্রা শুরু আমাদের।
তাড়াহুড়ো করে মধ্যাহ্নভোজ এর পর্ব সেরে বেরিয়ে পড়লাম মন্দারমণির উদ্দেশ্যে। ১৩ বছর ধরে মন্দারমণির এই অমোঘ টান যেনো কিছুতেই অস্বীকার করতে পারিনা। পুরো রাস্তাতেই ঠান্ডা ঝোড়ো হাওয়ার দাপট আর মাঝে,মাঝে রিমঝিম বৃষ্টি, সঙ্গে গাড়িতে বাজছে অরিজিৎ সিং এর গান। উফফ, আর কি চাই?
এই রোমান্টিক আবহাওয়া কে সঙ্গে নিয়ে আমরা চলে এলাম মন্দারমণিরতে। আখানে এসে বেশ সুন্দর সাজানো, গোছানো রিসোর্ট উঠি। তবে আমার এবার এই রিসোর্ট এ আসার মুখ্য আকর্ষণ ছিলো ইনফিনিটি পুল। সুইমিং পুল থেকে সমুদ্র দেখার এক আলাদাই ব্যাপার আছে।
পরের দিন সকাল হতে না হতেই দেখি সূর্যিমামা চড়া রোদ নিয়ে হাজির। যাহঃ কোথায় গেলো গতকালের সেই মেঘলা আকাশ? কি আর করি অতঃপর প্রাতঃরাশ সেরে একটু বেরিয়ে পড়লাম শঙ্করপুর আর তাজপুরের দিকে। বহু বছর পর শঙ্করপুরে এসে সব কেমন যেনো অচেনা লাগছিলো। কতো বদলে গেছে সব কিছু। পুরোনো স্মৃতিগুলো তখন যেনো সব এসে ভীড় করছিলো মনের মাঝে।
শঙ্করপুর ঘুরে আমরা চলে এলাম তাজপুরে। সব জায়গাতেই সমুদ্র সৈকত একেবারেই ফাঁকা। শুধু সমুদ্রের নীল জলরাশি আর নির্জন সৈকত। এইরকম নীল নির্জনের আকর্ষণেই তো বারংবার মন্দারমণি ছুটে আসি। তাজপুরে এক দিদির ছোটো হোটেলে আমরা মধ্যাহ্নভোজের পর্বটা সেরে নিলাম।
এবার আবার চলে এলাম প্রিয় মন্দারমণিতে আর এখানে এসেই আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হতে লাগলো। আকাশে মেঘের আনাগোনা আর সমুদ্রের ঠান্ডা হাওয়া। সমুদ্রের ঠান্ডা জলে পা ভিজিয়ে মন, প্রাণ এক্কেবারে জুড়িয়ে গেলো। তারপর আবার অনেকক্ষন ধরে চললো সুইমিং পুল এর জলে দাপাদাপি।
আজই মন্দারমণিতে এবারের মতো আমাদের শেষ রজনী। সমুদ্র সৈকতে তখন মাতাল করা দামাল হাওয়া বইছে। এই হাওয়া ছেড়ে কি আর ঘরের এসিতে ফিরতে মন চায়? যতক্ষণ পারলাম বাইরেই বসে রইলাম...মনে হচ্ছিলো এই রাত যেনো শেষ না হয়।
সকাল হতেই এবার ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি ফেরার পালা। আজও আবহাওয়া বেশ সুন্দর, তাই মনঃস্থির করলাম রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে একবার লাল কাঁকড়া সমুদ্র সৈকতটা টুক করে ঘুরে আসি। সেই মতো আমাদের গাড়ি চললো লাল কাঁকড়া বিচ এর দিকে। এখানে বলে রাখি এই বিচ এ আসার যে পথ তা পুরোটাই কাঁচা রাস্তা। এই কাঁচা রাস্তা ধরেই আমরা পৌঁছে গেলাম লাল কাঁকড়া বিচ এ।
এসে দেখি কোথাও কোনো প্রাণীর দেখা নেই। এ যেনো জনমানব শূন্য এক সমুদ্র সৈকত। এই রকম ফাঁকা সৈকত পেয়ে কি যে আনন্দ পেলাম তা ভাষায় প্রকাশ্য সম্ভব নয়। অনেকক্ষন এই সৈকতে সময় কাটালাম আর লাল কাঁকড়ার অনুসন্ধান করে চললাম। কিছু লাল কাঁকড়ার দেখা মিললো। তবে পায়ের আওয়াজ পেলেই তো ওরা অনেক দূর থেকেই ওদের গর্তে টুপ্ টাপ ঢুকে পরে। এই জনমানব শূন্য সৈকত কিন্তু আমাদের মতো যাঁরা নিজর্ন জায়গার খোঁজে বেরিয়ে পড়েন আশা করি তাঁদের বেশ ভালোই লাগবে।
মন্দারমণি, শঙ্করপুর, তাজপুর, লাল কাঁকড়া বিচ এর সফর সেরে এবার বাড়ির পথে যাত্রা শুরু আমাদের।