মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নানা আয়োজনে বশেফমুবিপ্রবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন ‘এটিভি ইউএসএ আইকনিক অ্যাওয়ার্ড’-এ সেরা অভিনেত্রী প্রভা জানুয়ারি থেকে ডিম উৎপাদন স্থগিতের হুঁশিয়ারি পোল্ট্রি খামারিদের দুই দিনের রিমান্ডে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী নিশিতা মৌলভীবাজারে বগি রেখে চলে গেল ট্রেন বড় মায়ের স্বপ্ন পূরণে হাতির পিঠে বিয়ে করলেন জাকারিয়া বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করল ছাত্রশিবির বাংলাদেশ থেকে ওষুধ কিনতে আগ্রহী পাকিস্তান মানবাধিকার বাস্তবায়নে বশেফমুবিপ্রবির ছাত্রদলপন্থী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন হাসিনা ও রেহানার ক্যাশিয়ারদের বিষয়ে জানালেন আইন উপদেষ্টা বাজারে নতুন আলু আসলে কমবে দাম: বাণিজ্য উপদেষ্টা বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলছে ‘পুষ্পা টু’, আয় ছাড়ালো ৮০০ কোটি ৪৭তম বিসিএসের আবেদন স্থগিত ভারত পালিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, ৪ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার ইইউ ভিসা সেন্টার সরিয়ে ঢাকায় আনার অনুরোধে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিকের বই বিতরণ শুরু শ্রমিক লীগ নেতা খাসজমি বিক্রি করে আশ্রয়ণের ঘরে বসবাস বিশ্বজুড়ে স্বৈরাচারের পতনের নতুন যুগ ৫ টাকার জন্য সংঘর্ষে দুই গ্রামের আহত অর্ধশতাধিক সিরিয়ার ক্ষমতা এখন কার হাতে যাবে ?

দার্জিলিংয়ের পাশে তিনচুলেতে লুকিয়ে আছে এক রূপকথার রাজ্য

  • আপলোড সময় : ২০-০৪-২০২৪ ১০:৪২:২৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২১-০৪-২০২৪ ০৮:৫৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
দার্জিলিংয়ের পাশে তিনচুলেতে লুকিয়ে আছে এক রূপকথার রাজ্য
“তিনচুলে” একটু অদ্ভুত নাম টা তাই না? তিনদিকে পাহাড় বেষ্টিত ভারতের উত্তরবঙ্গের একটি ছোট্টো গ্রাম এই তিনচুলে। এই অদ্ভুত নামকরণের কারণ স্বরূপ যা জানা যায় তা হলো "তিন" অর্থাৎ three আর "চুলে" অর্থাৎ চুলা বা oven। তিনটি পাহাড় এই গ্রামকে যে ভাবে ঘিরে রেখেছে যা দেখতে একদম চুলার মতোই। সেই থেকেই এই নামকরণ তিনচুলে। নাম যেমন উদ্ভূত এবং অসাধারণ গ্রামটি দেখতেউ তেমন বিষণ সুন্দর। 

চটকপুর থেকে ভায়া ঘুম হয়ে এক ঝলকে লামাহাটা ইকো পার্কের সফর সেরে আমরা চলে আসি আমাদের অগ্রিম বুকিং করা হোটেলে। যাওয়ার সাথে সাথেই রুম দিয়ে দেওয়া হলো। একদম নতুন পরিষ্কার, পরিছন্ন আর বেশ বড়ো সরো ঘর পেলাম আমরা। 

ওই দিন হোটেলে মধ্যাহ্নভোজ সেরে সামনের রাস্তা ধরে একটু হাঁটতে বের হলাম। দূরের পাহাড়, রাস্তার দু ধারে সবুজ গাছের সারি আর তার মধ্যে থেকে ভেসে আসছে ঝিঁ-ঝিঁ পোকার ডাক। কি শান্ত, নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই সন্ধ্যা নেমে এলো। আমরাও হোটেলের পথে পা বাড়ালাম। এখানে ঠান্ডা কিছুটা কম হলেও তার দাপট ছিলো বেশ ভালোই। যত রাত গভীর হতে থাকলো এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা যেনো গ্রাস করলো চারিদিকে।

পরের দিন সকাল হতেই তিনচুলে ভ্রমণ করে আমরা চলে যাবো আমাদের পরের গন্তব্যস্থলে।

হোটেলটির নাম তিনচুলে হিমালয় হোমস্টে। সেখানে খাওয়া মান বেশ ভালোই। খাবার সেরে প্রথমেই আমরা চলে গেলাম তিনচুলের চা বাগানে। রোদের আলোয় চা বাগানটি বেশ মনোমুগ্ধকর লাগছিলো দেখতে। এই সফরে এর আগে দেখেছিলাম মেঘে ঢাকা মহালদিরাম চা বাগানের মায়াবী রূপ আর আজ দেখলাম রৌদ্রজ্জল চা বাগানের ঝকঝকে এক সৌন্দর্য। দুই ভিন্ন ধরণের সৌন্দর্য চাক্ষুস করার সৌভাগ্য ঘটলো।
চিনচুলে জায়গাটিতেও পর্যটকদের আনাগোনা খুব কমই চোখে পড়লো। এই রকম নিরিবিলি জায়গার সন্ধানেই তো বেরিয়ে পরি যাযাবর এই মনটা নিয়ে।

চা বাগানে পর রওনা দিলাম বাড়ামাংয়ার কমলা বাগানের উদ্দেশ্যে। খুব বেশী দূর যেতে হলোনা আমাদের গাড়ি এসে থামলো এক সুবিশাল বাংলোর সামনে যার নাম অরেঞ্জ ভিলা। বাংলোর গেট থেকে শুরু হলো ফুলের সমারোহ যেদিকে চোখ যায় লাল, হলুদ, সাদা, গোলাপী, বেগুনি ফুলগুলো যেনো সম্মোহণ করে রাখা। তবে এরপর আরো বড়ো কিছু আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো। ফুলের সম্মোহনে একাত্ব হয়ে চলতে, চলতে এসে দেখি চারিদিকে শুধুই কমলা রঙের বাহার। যতদূর চোখ যায় কমলালেবুর গাছ আর গাছে ভর্তি কমলালেবু। সম্মহণের বাকি অংশটা এখানেই ঘটে গেলো। কি অপূর্ব দৃশ্য বিশাল এলাকা জুড়ে গাছ ভর্তি কমলালেবু। মনে হলো এ যেনো এক স্বপ্নপুরী। গাছ ভর্তি ফল আর ফুলের সমারোহ যেনো ঠিক ছোটবেলার ঠাকুমার ঝুলির রূপকথার এক রাজ্য মনটা কোথায় হারিয়ে গেলো। 

হঠাৎ দিদি বলে কেউ ডেকে উঠলো, দেখি একটা বাচ্চা মেয়ে ওই সব পর্যটকদের এই অরেঞ্জ ভিলা ঘুরিয়ে দেখায় আর সকলকে নিষেধ করে গাছে হাত না দিতে। সেই বাচ্চা মেয়েটি কমলালেবু এনে দিয়ে আমাদের বললো এগুলো আজ সকালেই গাছ থেকে মাটিতে পড়েছে তোমরা খাও। সত্যিই মাটিতে বেশ কিছু জায়গায় কমলালেবু পড়ে আছে যা আমাদের ও চোখে পড়লো। বেশ মিষ্টি স্বাদের সেই কমলালেবু আমরা খেলাম । অন্যদিকে বাচ্চাটি আবার ব্যস্ত হয়ে পড়লো অন্য পর্যটকরা যাতে গাছের কোনো ক্ষতি না করে সেই দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে।

এবার এই স্বপ্নপূরীর মায়া ত্যাগ করে বেরিয়ে পড়তে হবে। শেষবারের মতো দু চোখ ভোরে এই প্রকৃতির আস্বাদ নিয়ে এবার আমরা বেরিয়ে পড়লাম দার্জিলিং এর পথে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : আরিজ উলফি মিথুন

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ